রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ন
(পটুয়াখালী) বাউফল উপজেলা প্রতিনিধিঃ
এই যানটির নাম উল্কা, হলেও এখন বাউফলের মানুষের কাছে দানব হিসেবে পরিচিত।
গত এক বছরেএই দানবের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ১২ জন বেশি মানুষ। এছাড়াও পঙ্গু করে মানুষের স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিয়েছে এই দানবটি। এছাড়াও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে একের পড় এক সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তবে অভিযোগ রয়েছে, সরকার দলীয় প্রভাবশালীরা এই উল্কা ব্যবসায় জড়িত থাকার কারণেই এই যানটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেননা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
এই যন্ত্র দানবের বেপরোয়া চলাচলের কারণে এখন সব রাস্তায় আতঙ্ক। অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের দ্বারা পরিচালিত বিকট শব্দ আর ব্রেক, হেডলাইট বিহীন এসব সড়ক দানব অহরহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিকট শব্দে উপজেলার প্রধান সড়ক সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাঁপিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলছে যে উল্কা তা মুলত ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার। এ ধরনের যান কেবল জমি চাষের জন্য অনুমোদিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলায় প্রায় কয়েকশ এর বেশি যন্ত্র দানব উল্কা রয়েছে। আর এই উল্কার অধিকাংশ মালিক সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের হওয়ায় সাধারণ মানুষ তো দুরের কথা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও অসহায়।
পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলারের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গেছে বহুগুণ। নষ্ট করে ফেলছে উপজেলার অভন্তরীন গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলো সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা দেখেও না দেখার ভান করে।
অতিরিক্তি মাল বোঝাই করে চলাচলে কারণে বন্দরের সড়কগুলো একেবারেই চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, এই অবৈধ যানটির কারণে অকালে একের পড় এক প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে, নেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সর্বশেষ গত শনিবার এই উল্কার ধাক্কায় প্রাণ গেল উপজেলার কনকদয়িা স্যার সলমিুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরজেী বিভাগের শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।